ব্লগ সংরক্ষাণাগার

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০০৯

পঞ্চপাখি: সময়ের ডালে


এক।

জরামরা-গাছে তোমার ছোঁয়াচে ফুটবে ফুল:

ভুলেই ছিলাম। অথচ দেখছি

তোমার সুপ্ত আঁচের আশায় ছিল ব্যাকুল

শূন্য সন্ধ্যা, শুষ্ক কুরচি।

তোমারই আকাশে অপেক্ষমান

তোমার স্বয়ম্প্রকাশ-পক্ষী।


দুই।

ছোট্ট একটা জালা দিয়ে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে,

ভীত চোখে দেখতে দেখতে কত চেনা হয়ে গেল মেঘ।

মেঘের আকাশে ভাসা ছোট্ট একটা কাঠ-পেন্সিল পাখি।

জানালায় চোখ পেতে বসে থাকি। যদি তাঁকে দেখি।


তিন।

বুকের ভেতরে জল-কলকল করে উঠছে নদী।

চুয়াল্লিশ ডিগ্রি রোদ, উত্তপ্ত বাতাস, ধুলা---সব

ভিজিয়ে ডুবিয়ে দিয়ে জেগে উঠছে আনন্দের ঢেউ।

অপেক্ষার পাখি আজ গান গেয়ে উঠেছে আকাশে।

অপেক্ষার পাখি আজ হেসেছিল প্রাণের প্রকাশে।


চার।

পরানের পাখি উড়ে গেছে কাঠ-পেন্সিলের চোখে।

পড়ে আছে খালি বাসা পাখি ফিরে আসবে আশায়।

বাসার কোটরে অন্ধ, পরিত্যক্ত সময়ের আঁখি:

কখন যে স্বপ্ন আসবে, কোথায় সে, কোনখানে থাকে?

স্মৃতির আকাশে আজও মাঠ মাঠ অপেক্ষার দানা,

পরিচয়-সূত্রে চেনা ডালপালা-গাছ-বাসা সমস্তই পাখি।


পাঁচ।

এ নাও, তোমাকে দিলাম চোখের জল।

পান ক’রো মম প্রিয়তম দূর-পাখি।

যদি-বা এখনও থাকে কোনো গান বাকি,

যে-গান শোনোনি, কাঁদেনি এখনও আঁখি---

তারই লাগি এত বাঁচামরা-দোলাচল।

প-৬১/এ রাবি: ২৬শে এপ্রিল ২০০৯

কোন মন্তব্য নেই: