। এক।
জরামরা-গাছে তোমার ছোঁয়াচে ফুটবে ফুল:
ভুলেই ছিলাম। অথচ দেখছি
তোমার সুপ্ত আঁচের আশায় ছিল ব্যাকুল
শূন্য সন্ধ্যা, শুষ্ক কুরচি।
তোমারই আকাশে অপেক্ষমান
তোমার স্বয়ম্প্রকাশ-পক্ষী।
। দুই।
ছোট্ট একটা জানলা দিয়ে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে,
ভীত চোখে দেখতে দেখতে কত চেনা হয়ে গেল মেঘ।
মেঘের আকাশে ভাসা ছোট্ট একটা কাঠ-পেন্সিল পাখি।
জানালায় চোখ পেতে বসে থাকি। যদি তাঁকে দেখি।
। তিন।
বুকের ভেতরে জল-কলকল করে উঠছে নদী।
চুয়াল্লিশ ডিগ্রি রোদ, উত্তপ্ত বাতাস, ধুলা---সব
ভিজিয়ে ডুবিয়ে দিয়ে জেগে উঠছে আনন্দের ঢেউ।
অপেক্ষার পাখি আজ গান গেয়ে উঠেছে আকাশে।
অপেক্ষার পাখি আজ হেসেছিল প্রাণের প্রকাশে।
। চার।
পরানের পাখি উড়ে গেছে কাঠ-পেন্সিলের চোখে।
পড়ে আছে খালি বাসা পাখি ফিরে আসবে আশায়।
বাসার কোটরে অন্ধ, পরিত্যক্ত সময়ের আঁখি:
কখন যে স্বপ্ন আসবে, কোথায় সে, কোনখানে থাকে?
স্মৃতির আকাশে আজও মাঠ মাঠ অপেক্ষার দানা,
পরিচয়-সূত্রে চেনা ডালপালা-গাছ-বাসা সমস্তই পাখি।
। পাঁচ।
এ নাও, তোমাকে দিলাম চোখের জল।
পান ক’রো মম প্রিয়তম দূর-পাখি।
যদি-বা এখনও থাকে কোনো গান বাকি,
যে-গান শোনোনি, কাঁদেনি এখনও আঁখি---
তারই লাগি এত বাঁচামরা-দোলাচল।
প-৬১/এ রাবি: ২৬শে এপ্রিল ২০০৯
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন