ব্লগ সংরক্ষাণাগার

সোমবার, ১৮ মে, ২০০৯

রক্ষাকবচ


সমস্ত রক্ষাকবচ খুলে ফেলে দিয়েছি সাগরে—
উলঙ্গ পাগল দেখে দেখি লোকে কতখানি
মারে।

বিস্তীর্ণ নরম্যালের পিঠে আমি একা অ্যাবনরম্যাল
বসে আছি—
একথা যুক্তির শাস্ত্র
খাতায় দেখিবা-মাত্র ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ করে কেটে দেবে।

নিজেরই মুদ্রাদোষে একটা মানুষ স্রেফ একা একা
আলাদা হয় না—
এই সত্য জানানোর টাইম অনেক আগে পার হয়ে গিয়েছে।
অথচ
একা-কার্য একাকী-কারণ দিয়ে বহু তত্ত্ব এখনও লিখছে
একান্ত
নিজের যত কথামালা, গল্পের মালিকা—
সেখানে সুস্থতার কথা
প্রাচীন, অচল।

কোনো বেদনার দাগ কোনোখানে মিলায়নি
একটুও।
সব ক্ষত উন্মোচন করে দিয়ে এবারে দেখব
কত মাছি এসে কত শত চোখে কাকে চোখ
মারে।
আমি তো চুম্বনও কোনো কারো কাছে গচ্ছিত
রাখিনি—
নিজের বোঁচকা সব নিজে নিজে বয়ে নিয়ে
গেছে।

উদোম শরীরে দেখি কত
সাপ বসায় ছোবল:
সুরক্ষা-সরাইখানা, তোকে আজ বিদায় জানাই।
সবার জন্যে মদ্য
গদ্যপদ্য সদ্য-সদ্য বরাদ্দ নাই,
কারো কারো রুটিজল
উপর-আলা তুলে নিয়ে থাকে।
নিরূপায় খুঁজি তাই অনাহারী
আত্মার আহার—
ভর্ৎসনা, বিস্তৃত প্রহার।

রাবি: ১১ই সেপ্টেম্বর ২০০৬

কোন মন্তব্য নেই: