ব্লগ সংরক্ষাণাগার
বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৯
ছন্দ প্রসঙ্গে: চড়ুই কি চটি পড়ে সেক্স করে?
ছন্দ প্রসঙ্গে: চড়ুই কি চটি পড়ে সেক্স করে?
টোকনচন্দ্রিকা: ফেসবুকে বন্ধুভাজন টোকন ঠাকুর সম্প্রতি তাঁর একটি কবিতায় ("সব কবিতার শিরোনাম লাগে না") আমাকে 'ট্যাগ' করেছেন। আমি তাঁর কবিতা পড়ে গুরুতর উস্কানিপ্রাপ্ত হই। ফেসবুকে মন্তব্যের ঘরে দুই-চার বাক্যে সেই উস্কানির তৃপ্তি হয় না দেখে আলাদা একটা 'নোট'ই লিখে ফেলেছি। নিচে টোকনের কবিতা, কবিতার ফেসবুক-ঠিকানা ও তারিখ সব দিয়ে দিলাম। মোক্ষম একটা উস্কানি দিতে পারার জন্য টোকনের কাছে শুকরিয়া। যে-প্রসঙ্গ উনি তুলেছেন, তা খুব দরকারি প্রসঙ্গ। এ-জন্য তাঁকে ধন্যবাদও জানাই। কিন্তু, এখানে আসলে আমি ঠিক শুধু টোকনের কবিতা নিয়েই কথা বলব না। তাঁর কথার উসিলায় সাধারণ একটা নৈর্ব্যক্তিক স্বরে ছন্দ নিয়ে কয়েকটা কথা বলার চেষ্টা করব। সবই জানা কথা।
টোকন ঠাকুর
সব কবিতার শিরোনাম লাগে না
রোদ তুই ছন্দ জানিস? মাত্রা মানিস?
সামান্য ফাঁক-ফুটো পেলেই ঢুকে পড়িস?
রোদ তোর আসার পথে দেখা হয়েছে কার কার সঙ্গে, বল?
মেঘরা ছিল কোন বৃত্তে, কথা হয়নি আমাকে নিয়ে?
পরিপার্শ্বের হাওয়া, কার কাছে তুই অক্ষরবৃত্ত শিখে হয়েছিস হিম?
কোন ছন্দে পাতা ঝরে? বলদ এবং বাঙলা বিভাগের
বিরাট অধ্যাপকের মধ্যে যবে এত অনুপ্রাস তবে এত মিল?
গান তুই হাওড়ের মাঠে শুয়েছিলি শীতকালে
তোর উস্তাদ কোন কুলাঙ্গার খাঁ?
ধান তুই আমার শব্দে বোনা ফসল
মহাজন সাহিত্য সম্পাদক?
রোদ আজ সব খুলে বল, আমি তো তোকে জানি-
ড ফুলস্টপ না করেও তুই কেমনে কবিতা লিখিস
অচেনা ম্লান-মুখে?
জোশ জোশ!
চটি পড়েনি, কী নিরক্ষর!
থ্রি এক্স দ্যাখেনি
কী গ্রাম্য!
চড়ুই সেক্স করছে মহাসুখে...
http://www.facebook.com/notes.php?subj=521615521
Saturday, August 29, 2009 at 10:48am
ছন্দ প্রসঙ্গে: ছন্দ বা অন্য যেকোনো স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাপার নিয়ে যাঁরা ব্যাকরণগিরি করেন, তাঁরা শুধু বাংলা বিভাগের লোকই নন, গণিত বিভাগের লোকও হতে পারেন। এঁরা আসলে মাতব্বর গোছের, কর্তৃত্বপরায়ন লোক। এঁরা কানা বিচারকের মতো ততোধিক আইন/মাত্রা/ব্যাকরণ গণনা করে 'রায়' দিতে চান কোনো রচনা 'কবিতা' হয়েছে কি হয়নি। বহু কাল হলো, এঁদের অতি-আচারের দাপটে কবিতা লেখা এবং প্রকাশ করা সত্যিই ভীতিকর/দুঃসাহসী কর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপাতত, জীবনের সকল এলাকায় এঁদেরকেই অধিষ্ঠিত দেখতে পাওয়া যাবে।*
এঁদেরকে নিয়ে হাসিতামাশা করা যেতেই পারে। তবে মনে রাখা দরকার, হাসিতামাশা-ব্যঙ্গবিদ্রুপ যে-কেউ-ই যে-কাউকে নিয়ে করতে পারেন। তার জন্য বিশেষ কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। অন্যকে একটু হেয় জ্ঞান করতে পারলেই মোটামুটি চলে, সাথে একটু রাগ, প্রকাশ্যে কটু কথা বলার মতো একটু আস্পর্ধা ইত্যাদি প্রভৃতি থাকলে তো কথাই নেই। সব মিলিয়ে কখনো-কখনো এগুলো বেশ মূল্যবানও হয়ে উঠতে পারে, সন্দেহ নাই। এবং এতেও কোনো সন্দেহ নাই যে, পাণ্ডিত্য বা অধ্যাপনা মাত্রেই অপরাধের বা বিদ্রুপের বিষয় নয়।
তবে, ছন্দ বলে একটা ব্যাপার থেকেই যায়। বাস্তবে এরকম একটা পদার্থ আসলে আছে। কিন্তু, তার সাথে ব্যাকরণ, ব্যঙ্গবিদ্রুপ অথবা গাণিতিক মাত্রা-গণনার কোনোরকম কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, কোনোকিছুর 'চাল' বা 'চলন'-ই তার ছন্দ। জগতে কোনো কিছুই স্থির নয়, সবই গতিশীল। গতির বিশেষ বিশেষ চলন-প্রকাশই ছন্দ। রোদ-বৃষ্টি-মেঘ, পাতা ঝরা, হাওরের গান, ফসলের আত্মপ্রকাশ, আমাদের হাঁটা-চলা-কথা-বলা-শোয়া-বসা-ঘুমানো-দাঁড়ানো -- এই সবকিছুরই নিজের নিজের ছন্দ আছে: অকল্পনীয় রকমের বৈচিত্র্যপূর্ণ, আলাদা-আলাদা সব ছন্দ।
সুর-তাল-লয়-ছন্দ-মাত্রা মানুষের সহজাত-স্বাভাবিক-স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাপার। ওমুক লোকের তাল-জ্ঞান না-থাকা, ওমুকের খুব ঢিমে তালে চলা, তমুক লোকের একেবারে মাত্রা-ছাড়া কথা বলা, অথবা কোনো একটা কাজের ছন্দ কেটে যাওয়া, কোনোকিছুর সুর হারিয়ে ফেলা, কিছু লোকের বেতাল-বেসুরো হওয়া কিংবা দ্রুত লয়ে/ধীর লয়ে কাজ সম্পাদন করা -- এসব আমাদের নিত্যদিনের অভিজ্ঞতা। এগুলো নতুন কিছু নয়, বরং এতো স্বাভাবিক ব্যাপার যে, কাব্যছন্দ নিয়ে কথা বলার সময় আমরা অনেকে এসব হয়ত বিবেচনাতেই রাখি না।
মানুষের লিখিত বা মৌখিক রচনার বেলায়, শাদা চোখে তাকালে খুব সহজেই বোঝা যায়, প্রত্যেকটা রচনাই আলাদা, প্রত্যেকটা রচনার ছন্দই আলাদা। বিশেষত, কবিতার কথা বললে, পৃথিবীর প্রত্যেকটা কবিতার ছন্দই আলাদা। মিশ্রকলাবৃত্তে তথা অক্ষরবৃত্তে লেখা দুইটা কবিতার সামগ্রিক অন্তর্নিহিত/দৃশ্যমান ছন্দ কোনোদিন এক নয়। দুইটা স্বরবৃত্তের ছড়ার চলন জীবনেও হুবহু এক হতে পারে না। ব্যবহৃত শব্দের গড়নের কারণে, নানারকম ধ্বনির নানারকম জোর বা ঝোঁকের কমবেশির কারণে, আরো অনেক রকম কারণে তারা আলাদা আলাদা হতে বাধ্য। এইমাত্র লিখিত কবিতাটিরও একেবারে নিজস্ব, সম্পূর্ণ অনন্য একটি চলন আছে, নিজস্ব রঙ আছে, গন্ধ আছে, স্বাদ আছে। দূর থেকে সব ঘাসই একরকম লাগে, কাছে গেলে প্রত্যেকটা সবুজের শিরা-উপশিরা-আকার-আকৃতি-রঙ আলাদা।
একটু গোড়ায় গিয়ে দেখতে চাইলে দেখা যাবে, আমরা যখন গড়পরতা বা মোটা দাগের ব্যাখ্যা দিতে চাই, তখন আমরা নানাকিছুকে কতিপয় পৃথক-পৃথক বর্গে ভাগ করি। জাগতিক নানা কারণে এরকম মোটা দাগের মোটা মোটা আলাপ আমরা জীবনের সব এলাকাতেই করে থাকি। এর বাস্তব উপযোগিতা আছে বৈকি। কিন্তু, যতই বর্গে-বর্গে, খুপরিতে-খুপরিতে ভাগ করি না কেন, সূক্ষ্ম বিচারে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটা বস্তুই পৃথক, আলাদা, স্বতন্ত্র, অনন্য। এই দুনিয়ার সকল বস্তুপ্রাণসত্তার সকল ছন্দই অনন্য। কবিতারও তা-ই।
ঠিক যে, কবিতা লিখতে ছন্দ না জানলেও চলে। হয়ত আমি একটা কবিতা সাত-মাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লিখেছি, কিন্তু আমি 'মাত্রাবৃত্ত' বা 'কলাবৃত্ত' কাকে বলে জানি না-- এটা খুবই সম্ভব। কিন্তু, গতিশীল পদার্থ হিসেবে কবিতার চালচলন-গতিবিধি বুঝতে এবং ব্যাখ্যা করতে ছন্দ অবশ্যই জানা লাগে। যে-বাচ্চা চমৎকার হাঁটে, শরীরসংস্থানতত্ত্ব কিংবা পদার্থবিজ্ঞানের বলগতিসূত্রাবলী অথবা গণিতের গতিধর্ম (স্ট্যাটিক্স-ডিনামিক্স) তার না-জানলেও চলে। কিন্তু, বাঁশের সরল খুঁটির মতো লম্বা-ঠ্যাংঠ্যাঙা দুইখানা ঠ্যাঙের উপরে মানুষের দাঁড়িয়ে থাকা এবং চলাচলের আশ্চর্য কাব্যময় রহস্যকে যথোপযুক্তভাবে ব্যাখ্যা করতে পারার জন্য অনেক জটিল বিষয়ে পাণ্ডিত্য অর্জন করতে হয় তো বটেই। কেউ চাইলে সেই কাজে রত হতে পারেন, আবার কেউ চাইলে মনের সুখে হেঁটেই ধন্য বোধ করতে পারেন। সংসার আনন্দময়, যার মনে যা লয়।
সুতরাং, ছন্দ বলে কিছু নাই, বা কবিতার বেলায় ছন্দ থাকার দরকার নেই: এরকম দাবি করাটা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কোনো অর্থ বহন করে না। বরং প্রায়শই ছন্দশাস্ত্র সম্পর্কে দাবি-প্রণেতার অজ্ঞতা বা আগ্রহের বা অনুভূতির অভাবকেই তা চিহ্নিত/আড়াল করতে চায়। ছন্দ তো থাকেই। সব কবিতাতেই থাকে। বে-তালও একটা তাল বটে; বে-সুরও একটা সুর বটে। তেমনি, ছন্দহীনতাও একটা ছন্দ তো বটেই। কোন তালটা তাল, আর কোনটা বেতাল, সেটা যেমন যার যার তালজ্ঞানের ওপর নির্ভর করে, তেমনি কোন কবিতাটা ছন্দে সুলিখিত, আর কোন রচনাটা ছন্দহারা-ছন্দছাড়া-ছন্নছাড়া সেটাও যার যার ছন্দজ্ঞানের ওপরই নির্ভর করে। এক্ষেত্রে কোনো পণ্ডিত বা কোনো মূর্খের কথাই চরম-চূড়ান্ত নয়।
সেক্স প্রসঙ্গে: চড়ুই পাখি কি থ্রি-এক্স দেখে, চটি পড়ে 'সেক্স' করে? আদর-ভালোবাসা-সঙ্গম যতটা স্বাভাবিক, 'সেক্স'-ও কি ততটাই স্বাভাবিক, নাকি ট্রেনিংপ্রাপ্ত? প্রেমের গান, প্রেমের উপন্যাস, প্রেমের নাটক, চটি-গ্রন্থ, সুন্দরী কবিতা, বাইবেলের সোলায়মানের গজল, দেবদেবীদের আকর্ম-কুকর্ম, কোরানের কৃষিকাজ, ইস্কুলের নাড়িভুড়ি, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদমন, মাদ্রাসা-ক্যাডেটকলেজ-হলহোস্টেলব্যারাকের কামাকামি, সায়েন্টিফিক ইরোটিকা, যৌনতার দর্শন, থ্রি-এক্স, ফোর-এক্স, বলিউড-এক্স, হলিউড-এক্স, টেলিভিশনের বাতাস, জ্বীনের আসর, দশ টাকা বিশ টাকার চিপাগলি ইত্যাদি প্রভৃতি আরো কতকিছুর সার্বক্ষণিক দৃশ্য-অদৃশ্য দীক্ষায়ন-প্রকৌশল/ট্রেনিং-প্রণালীতে আচ্ছন্ন প্রশিক্ষিত 'সেক্স' আর চড়ুই পাখির স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত সঙ্গমের আনন্দ কি এক রকম? সামরিক কম্যান্ডো প্রশিক্ষণের চেয়েও গুরুতর এসব ট্রেনিঙের আচ্ছন্নতা-আবিলতা কি আমাদের কবিতাতেও পড়ছে না? চড়ুই পাখির জীবন-আনন্দের চেয়ে 'সেক্স'টাই এখন বড় হয়ে যাচ্ছে। আশঙ্কা হয়: কবিরাও আদর-ভালোবাসা ভুলে ওয়ান-টু-থ্রি-আদিক্রমে এক্স-ওয়াই-জেড 'সেক্স'-এর কথাই ভাবছেন। তবু, চড়ুই পাখির 'সেক্স'-এর 'মহাসুখে'রও একটা ছন্দ আছে। মানুষের আদর-যৌনতা-সঙ্গম ক্রমাগত ছন্দ হারিয়ে ফেলছে। কথা হলো: ক্যালকুলেটর দিয়ে মাত্রা গুনে গলদঘর্ম হয়ে ছন্দ-যন্ত্রের ঠেলাগাড়ি যাঁরা চালান, তাঁদের যান্ত্রিক প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গিয়ে যদি আমরা এইসব কম্যান্ডো-সেক্সচুয়ালিটির প্রশিক্ষণের ছায়ায় আরামেই বসে থাকি, তবে তা আমাদের চিন্তার বিক্ষিপ্ততার ছবিই আঁকে। চড়ুই পাখির স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত সঙ্গমের আনন্দ কয়টা কবিতায় মুদ্রিত হয় বা হয় না, সেটা অবশ্যই ভিন্ন প্রসঙ্গ। বলা বাহুল্য।
-----------------------
* সংকোচ সহকারে জানিয়ে রাখি: এসব নিয়ে কিছু কথা আমি "কবিতা কি হাতিদের ধবধবে দাঁতের মতোন" জাতীয় শিরোনামে দুই কিস্তিতে দুটো রচনায় লিখেছিলাম। বদরে মুনীর এবং রিপন মাহমুদ কর্তৃক সম্পাদিত ও নাটোর থেকে প্রকাশিত উটপাখি নামের একটি ছোটকাগজের দুটো সংখ্যায় সেগুলো ছাপাও হয়েছিল। এসব নিয়ে তাই এখন আর কোনো কথা তুলছি না।
রাবি: ২রা সেপ্টেম্বর ২০০৯
রবিবার, ৫ জুলাই, ২০০৯
যাবজ্জীবন
যারা আমাকে ভালোবাসে,
আমার অনুপস্থিতির অর্থ তারা বুঝবে।
বাজারের বিখ্যাত লোকেরা
আমাকে যেসব পদক ও মালায় ভূষিত করেছে_
আমাকে যারা ভালোবাসে,
তারা সেগুলোর মর্ম ঠিকই জানবে।
বিখ্যাতির এ দমবন্ধ কালেও ভালোবাসে যারা তারা জানে:
ভালোবাসার নরম স্মৃতি সন্তানে সঞ্চারণের জন্য
একটু একটু ক'রে জীবিত থাকার নাম ভালোবাসা।
সামান্য দু-চারটা অভিমান আর অলীক সঙ্গীত নিয়েও
যে অব্যর্থভাবে পার ক'রে দেওয়া যায় একটা জীবন_
আমাকে যারা ভালোবাসে তারা কি সে-কথা বুঝবে না?
আমার আর ভয় কীসের?
অতিশয় দুর্বিনীত যথাযোগ্য দণ্ডযুক্ত হ'লে
তারও তো কিছু প্রায়শ্চিত্ত ঘটে!
মানুষকে তাহলে ঠিক আটকে রাখা যাচ্ছে না, বল?
রাজশাহী: ২৮শে মাঘ ১৪১০/১০ই ফেব্রুয়ারি ২০০৪
রবিবার, ২১ জুন, ২০০৯
স্তব্ধ তারানা
ïbwQ RyZvi nvwmi kã,
k³ †g‡Sq cv‡qi kãÑ
†Zvgvi Avmvi cÖni wclwQ
ey‡Ki cv_‡i|
cv_i cyo‡Q, Mj‡Q| Mi‡g
ev®ú n‡”Q †Kvgj cy®úÑ
`yqv‡i weQv‡bv dz‡ji Kvgbv
wcó n‡”Q RyZvi Nlvq,
AjxK Av`‡i|
nvRvi kã nvRvi Aã A‡cÿgvb
gMœ †g‡Si wm_v‡b-wkq‡i,
¯Íä Zvivbv|
bvbvb R¨všÍ aŸwb †Zv‡j Zvj
K¬všÍ, gvZvj,
iæ× k¦v‡mi wb‡P I Dc‡i|
Mv‡bi mxgvbv
gb-ebv‡šÍ Qj‡K co‡Q:
ïK‡bv cvÎ, ﮋ mgq|
†Nvi em‡šÍ Rxe‡bi †Nvi
wSwKwgwK DQwjqv †``vi‡m
wgwj‡q hv‡”Q w`e¨ AgvqÑ
ey‡Ki evMv‡b, †Pv‡Li b~cy‡i|
G gb we‡fvi ...
†Kvb kãUv †Zvgvi cv‡qi?
ivwe: 17B dvêyb 1415/1jv gvP© 2009
স্তব্ধ তারানা
শুনছি জুতার হাসির শব্দ,
শক্ত মেঝেয় পায়ের শব্দ-
তোমার আসার প্রহর পিষছি
বুকের পাথরে।
পাথর পুড়ছে, গলছে। গরমে
বাষ্প হচ্ছে কোমল পুষ্প-
দুয়ারে বিছানো ফুলের কামনা
পিষ্ট হচ্ছে জুতার ঘষায়,
অলীক আদরে।
হাজার শব্দ হাজার অব্দ অপেক্ষমান
মগ্ন মেঝের সিথানে-শিয়রে,
স্তব্ধ তারানা।
নানান জ্যান্ত ধ্বনি তোলে তাল
ক্লান্ত, মাতাল,
রুদ্ধ শ্বাসের নিচে ও উপরে।
গানের সীমানা
মন-বনান্তে ছলকে পড়ছে:
শুকনো পাত্র, শুষ্ক সময়।
ঘোর বসন্তে জীবনের ঘোর
ঝিকিমিকি উছলিয়া দেদারসে
মিলিয়ে যাচ্ছে দিব্য অমায়-
বুকের বাগানে, চোখের নূপুরে।
মন বিভোর ...
কোন শব্দটা তোমার পায়ের?
রাবি: ১৭ই ফাল্গুন ১৪১৫/১লা মার্চ ২০০৯
রবিবার, ৩১ মে, ২০০৯
বিড়ালের জেলখানা
gvby‡li Rb¨ cÖ_g hLb †RjLvbv evbv‡bv n‡jv, †Kv‡bv †jvK †mB †R‡j †h‡Z PvB‡jv bv| †R‡ji KZ©viv ZLb cix¶v K‡i †`L‡Z PvB‡jb, gvbyl Av‡`Š H †R‡ji †fZ‡i _vK‡Z cvi‡e wKbv| KzKzi‡K ejv n‡jv K‡q`Lvbvi †fZ‡i †h‡Z| KzKzi ivwR nq bv| ZLb †fZ‡i gvsk, nvo BZ¨vw` A‡bK fv‡jv fv‡jv Lvevi †i‡L Avmv n‡jv| Gevi cÖavb dUK Ly‡j †`Iqv n‡jv, Avi KzKzi‡K Avevi Aby‡iva Kiv n‡jv| KzKz‡iiv XyKj| Av‡qk K‡i Lvevi-`vevi †Lj, †MvUv †Rj Ny‡i-wd‡i †`Lj, Zvici †mvRv †MU w`‡q †ei n‡q †Mj| ivwR n‡jv bv _vK‡Z Zviv †R‡ji †fZ‡i| wKš‘ nvj Qvo‡jb bv Kviv-KZ©„c¶| Gevi cvVv‡bv n‡jv weovj‡`i‡K, Avi †fZ‡i ivLv n‡jv gvQ, `ya BZ¨vw` cÖf„wZ| weov‡jiv XyKj, †Lj-‡`j, Ges †_‡K †Mj †R‡jiB †fZ‡i| DjwmZ K‡q`-KZ©viv: weovj hLb †_‡K †Mj, gvbylI cvi‡e|
Avwk¦‡bi AvKvk-fwZ© D¾¡j Av‡jvi g‡Zv nvwmfiv gyL wb‡q GB Mí Avgv‡`i‡K ejj AvjgMxi| AvjgMxi Ii‡d Rvnv½xi, wcZv: RvwKi †nv‡mb, K‡q`x b¤^i: 9319, ivRkvnx †K›`ªxq KvivMvi| cwi®‹vi †`L‡Z cvw”Q K‡q`xi nvwm| cwi®‹vi †`L‡Z cvw”Q K‡q`xi Uzwc‡Z R¡jR¡‡j jvj-bxj myZv w`‡q dzj-‡Zvjvi g‡Zv K‡i AuvKv‡bv PviUv msL¨v 9319, AvjgMx‡ii wb‡Ri nv‡Z Kiv Kvi“KvR, †h-nvZ w`‡q GjwR enb Kivi `v‡q AvR 12 eQi n‡jv †m KvivMv‡ii iv¶mcyix‡Z Nvwb Uvb‡Q, Uvb‡Z n‡e AviI K‡qK eQi| †KŠZ‚nj Avi wRÁvmvi wmwiqvm GKUv `ªe‡Y Avgvi †Pnviv wfwR‡q Avwg Zuv‡K cÖkœ Kijvg, weovj cvi‡j gvbylI cvi‡e, Gi gv‡b Kx AvjgMxi? AvjgMxi nv‡m| †nuqvwj-fiv, AvKvk-fiv nvwm| Ii Kv‡Q, Ii AwfÁZvi Kv‡Q, Ii Mí-mËvi Kv‡Q wb‡R‡K Avgvi wbQK GKUv †Ljbv e‡j g‡b n‡jv| c‡i Av‡iv A‡bKevi wR‡Ám K‡iwQ, wKš‘ †mB wbi“Ëi nvwm|
wb‡R Avwg †f‡e †`Lvi †Póv K‡iwQ| †cvl-gvbv weovj n‡”Q †mB cÖvYx, hv‡K Avcwb hZB gv‡ib hZB a‡ib †m Avcbvi evmvq Avevi wd‡i Avm‡e| kvixwiK wbMÖn mn¨ Kivi †¶‡Î weov‡ji Zzjbv †gjv KwVb| cuvP-Zjvi Qv` †_‡K gvwU‡Z †d‡j †`b, D‡V GKUz Mv-Svov w`‡q †nu‡U P‡j hv‡e| AwZkq k³ Rvb weov‡ji| Avevi, MíUv nqZ G-K_vI ej‡Z PvB‡Q †h, †RjLvbv-aviYvUvi Avov‡j Av‡Q GB g‡bvfve: gvbyl n‡”Q KzKzi-weov‡ji g‡ZvB Av‡iKUv Rš‘ gvÎ| MíUvi g‡a¨ wK GB AvfvmI Av‡Q, †R‡ji ew›`Z¡ Avi wbMÖn mn¨ Ki‡Z †M‡j weov‡ji g‡Zv ÔAgvbweKÕ Rxe‡bi AwaKvix n‡Z n‡e? bvwK BkvivUv GB †h, †R‡j cy‡i ivL‡Z cvi‡j gvbyl cwiYZ n‡e weov‡j? Avwg ˆ_ cvB bv|
KviY hv-B †nvK, KvivMv‡i KzKzi †`wL wb| GKUvI bv| wKš‘ weovj Av‡Q, Qvbv‡cvbv -msmvi-mnKv‡i Av‡Q| wekvj Rvbvjvi †jvnvi Miv‡` Mvj †i‡L NÈv a‡i `uvwo‡q `uvwo‡q †`‡LwQ weov‡ji gv Zvi mš—vb‡K †kLv‡”Q †Kgb K‡i jvd w`‡q AvµgY Ki‡Z nq, †Kgb K‡i AvZ¥i¶v Ki‡Z nq, †Kgb w¶cÖZvi mv‡_ _vev Avi `uv‡Zi e¨envi Ki‡Z nq| †`‡LwQ ga¨iv‡Z mš—v‡bi Rb¨ Lvevi LuyR‡Z jK-Av‡ci †jvnvi duvK M‡j Avgv‡`i Iqv‡W© XyK‡Q weov‡ji gv| †`navi‡Yi Rb¨ ¶yav-wbeviY, Avi wb‡Ri wm×v‡š— Pjvi Rb¨ AvZ¥i¶v-AvµgY: weovj Zuvi cÖK…Z cÖRvwZ-mËv GZUzKz wemR©b †`q wb|
mvgvb¨ weovj‡KI Zvi ¯^vaxb ¯^fve †_‡K ekxf~Z Ki‡Z cv‡i bv †RjLvbv| A_P K‡q` Av‡Q gvbyl‡K civf~Z-ekxf~Z Kivi Lv‡q‡k| Avjvn Ñ PvB‡j Avcwb gv-cÖK…wZI ej‡Z cv‡ib Ñ gvbyl‡K m„wó K‡i‡Qb Rb¥m~‡Î ¯^vaxb mËv wn‡m‡e| Avi, †mB K‡e †_‡K mg¯— gvbyl‡K Aí wKQy gvby‡li `vm evbv‡bvi Rb¨ kvixwiK I gvbwmK ejcÖ‡qv‡Mi GKMv`v mk¯¿ cÖwZôvb Ly‡j e‡m Av‡Q KwZcq †jvK| wb‡R‡`i‡K Giv e‡j KZ©„c¶, Avwg ewj Bewjm| KZ©„Z¡-KZ©„c¶-Bewjm Pvq gvbyl Zvi †Mvjvwg Ki‡e| Avjvn Pvb gvbyl ¯^vaxbfv‡e †gvwgb gvbyl n‡q DV‡e| Ab¨v‡qi cÖwZev` Kiv ZvB †gvwg‡bi Cgv‡bi A½| A¯¿ Avi kv‡¯¿i †Rv‡i gvbyl‡K Bewj‡mi `v‡m cwiYZ Kivi cÖ‡Póvi BwZnvm n‡”Q KvivMv‡ii BwZnvm|
weov‡ji MíUvi DrcwË PÆMÖvg †R‡j| PÆMÖv‡gi †RjLvbvUv evbv‡bvi mgqB H KzKzi-weovj cix¶vwbix¶v Pvjv‡bv n‡qwQj e‡j M‡í cÖKvk| M‡íi †c‡Ui g‡a¨ GB Bw½ZI Av‡Q e‡j Avgvi wek¦vm †h, Zzwg †h-†RjLvbvq e›`x HUvB c„w_exi Avw`Zg Ges GKgvÎ †Rj: Gi Av‡M AZx‡Z †Kv‡bv †RjLvbv wQj wKbv, wKsev eZ©gv‡b Avi-†Kv_vI †Kv‡bv †RjLvbv Av‡Q wKbv Zv‡Z †Zvgvi Kx Av‡m-hvq? e›`xi we‡eP¨ n‡”Q ew›`Z¡, e›`xi we‡eP¨ n‡”Q ¯^vaxbZv| †Zv, AvjgMxi c„w_exi H cÖ_g †RjLvbvi †jvK, PÆMÖv‡giB †Q‡j| cvnv‡o myomywo †L‡q bvg‡Z bvg‡Z, Avi mgy‡`ª myZv-euvav eqv a‡i `~i bx‡j fvm‡Z fvm‡Z ˆkke cvi K‡i‡Q †m| Zvici ˆK‡kvi wVK g‡Zv †cwi‡q‡Q wK †c‡ivq wb, Afv‡ei avIqv †L‡q †R‡j Xy‡KwQj be-Zi“Y| mvZ mgy`ª †Zi †Rj Ny‡iwd‡i Pwjk QuyB-QuyB GLb †m ivRkvnx †K›`ªxq KvivMv‡i| †Rj wel‡q Zuvi g‡Zv we‡klÁ KgB Av‡Q|
AvjgMxiB cÖ_g Rvbv‡jv, ivRkvnx †K›`ªxq KvivMvi Av`‡Z e„wU‡ki ˆZwi Kiv ÔmuvIZvj cvwbk‡g›U †RjÕ| Av‡¯—-ax‡i wewfbœ K‡q`x Ges ÔeveyÕi KvQ †_‡K Rvbv †Mj AviI bvbv Z_¨| (me‡P‡q Kg †eZb‡fvMx Mwie Kviv-Kg©Pvix‡`i‡K Z_v Kvivi¶x‡`i‡K K‡q`xiv e‡jb ÔeveyÕ|) muvIZvj‡`i we‡`ªv‡ni cwi‡cÖw¶‡Z we‡klZ Zuv‡`iB kv‡q¯—v Kivi Rb¨ 1840 mv‡j GB KvivMv‡ii cËb NUvq e„wUk Jcwb‡ewkK cÖfyiv| GB mymf¨ cÖfyiv e›`x‡`i‡K wbh©vZ‡bi Rb¨ evbvq fq¼i me †mj Avi Ab¨-me e¨e¯’v| †hgb AÜKvi wbR©b Kei-†mj: Zv‡Z †Kv‡bv g‡Z k¦vm †bIqvi R‡b¨ mvgvb¨ GKwU euvKv‡bv cvB‡ci AvDU‡jU, †hb e›`x‡K †evSv‡bv hvq Ke‡ii AvRve e‡j Kv‡K| GLbI Av‡Q GB †mj, cÖavb dUK w`‡q XyK‡ZB nv‡Zi Wv‡b| Ae¨eüZ| †XvKvi `iRv gvwU w`‡q fivU K‡i eÜ K‡i-†`Iqv| wQj †RuvK-†mj, Zv‡Z KL‡bv †RuvK KL‡bv wks gvQ ivLv n‡Zv K‡q`x‡`i‡K we‡kl wk¶v †`Iqvi Rb¨| wQj Nb‡Ki AvK…wZm¤úbœ wKDweK¨vj †mj: GZ †QvU, Nvo Zz‡j †hb †KD `uvov‡Z bv-cv‡i| GLbI Av‡Q KÈK-†mj: gv_vi Ic‡i Avi Wv‡b-euv‡qi †`qv‡j kZ kZ †jvnvi KuvUv, †c‡iK ev MRv‡ji g‡Zv, ZviB g‡a¨ GK wPj‡Z RvqMv, †Kv‡bv g‡Z †kvqv hvq, mvgvb¨ bov-Pov Ki‡Z †M‡jI Mv i³v³ n‡e| GB KuvUv-†mj¸‡jv GgwWÕi †fZ‡i (g¨vbyd¨vKPvwis wWcvU©‡g›U), Ae¨eüZ, `iRv¸‡jv wmj K‡i †`Iqv| wQj whï wLª‡ói µ‡mi g‡Zv K‡i nvZ `yB w`‡K Qwo‡q †eu‡a g‡bi myL wgwU‡q PveyK gvivi Rb¨ ûBc ÷¨vÊ| †mB ÷¨vÛ GLbI Av‡Q, GLb Avi PveyK gviv nq bv| †`o‡kv eQi Av‡Mi mePvB‡Z Ômf¨Õ‡`i GB wQj e›`xi cÖwZ AvPiY| ivRkvnx †K›`ªxq KvivMvi G-iKg ÔHwZn¨Õevnx KvivMvi: wbh©vZ‡bi Rxeš— Rv`yNi|
wbh©vZb GLbI Av‡Q| gvÎv msKzwPZ n‡q‡Q, aviv e`‡j‡Q| wKš‘ wbh©vZb Av‡Q| Av‡Q kx‡Zi Kvgo| DËie‡½i eûj-Av‡jvwPZ kx‡Z GB †jLvUv hLb wjLwQ, evN-cvjv‡bv gv‡Ni GB kx‡ZI, †R‡ji `iRv Avi `iRvi mgvb Rvbvjv¸‡jv GLb †Lvjv| mviv mviv ivZ a‡i| wekvj G‡KKUv IqvW©| Pvi †`qv‡ji †Kv‡bvUv‡ZB `iRv-Rvbvjvi Afve bvB| û û K‡i wng XyK‡Q| Gw`K w`‡q XyK‡Q, Iw`K w`‡q †ei“‡”Q| R‡g hv‡”Q gvby‡li ev”Pviv| Mv‡q ïay GKUv K¤^j: cvZjv, †Quov‡Luvov, cyivbv, a¨voa¨vov| Gme e›`xi A‡b‡K wkï, A‡b‡K e„×|
Av‡Q wcucovi Kvgo| cÖvq wZb-Zjv `vjv‡bi mgvb DuPz G‡Ëv eo eKzjMv‡Qi †Mvovi w`KKvi g~j Kv‡Ê †jvnvi Kov †cuvZv Av‡Q| Zv‡Z nvZ †eu‡a wel wcucovi Kvgo LvIqv‡bv nq GK NÈv `yB NÈv wZb NÈv| Mv‡Qi †Mvovq gvwU‡Z A‡bK wcucovi evmv| K‡q`xi Mv‡q †g‡L †`Iqv n‡q‡Q ¸o| LyuwP‡q †`Iqv n‡q‡Q evmv| jvBb a‡i wcucov †ei“‡”Q| kZ kZ wcucov| D‡V hv‡”Q K‡q`xi Mv‡q, Kvgov‡”Q|
cÖwm× H eKzjZjvi eKzj QvovI MvQ AviI Av‡Q| Av‡Q gv_vi Ici Mv‡Qi Wv‡ji mv‡_ DuPz K‡i nvZ †eu‡a GKw`b `yB w`b wZb w`b `uvo Kwi‡q †i‡L †`Iqv, H Ae¯’vq †cUv‡bv| G¸‡jv Lye weij bv| (†Kv‡U© GK bvMv‡o K‡qK NÈv K‡i `uvwo‡q †_‡K mvgvb¨ Av›`vR †c‡qwQjvg `uvwo‡q _vKvi myL|) Av‡Q w`‡bi ci w`b †jvnvi WvÊv‡eox cwi‡q ivLv: bvbvb fw½‡Z, †hb wVKg‡Zv nuvU‡Z bv-cv‡i, †hb `iKv‡iI wbPz n‡Z bv-cv‡i, †hb mviv¶Y wcV euvKv K‡i _vK‡Z nq, †mvRv n‡Z bv-cv‡i, BqËv bvB|
Avi, Ô†Km †Uwe‡jÕ jvwV‡cUv †Zv Av‡QB| GKRb K‡q`x‡K K‡qKRb Ô`v½vÕ wg‡j ixwZg‡Zv jvwV w`‡q †cUv‡”Q, Zey †m K‡q`x †Rj-KZ©v‡`i‡K †Pv‡L †PvL †i‡L e¨½ K‡i wnw›` Mvb †M‡q †b‡P P‡j‡Qb A™¢yZ fw½‡Z| Ôwe-K¬vmÕ K‡q`x Guiv, wØZxq †kªYxi K‡q`x| cÖK…Zc‡¶, GuivB gvbecÖRvwZi ¯^vaxb AvZ¥v-ci¤úivi mePvB‡Z DrK…ó cÖwZwbwa| wbixn I f`ªfv‡e e›`xZ¡‡K †g‡b †bb bv Guiv| wKQy‡ZB ek gvbv‡bv hvq bv Gu‡`i| ¯^vaxb gvbyl‡K mK‡jB mgxn Ki‡Z eva¨ nq| †Rj-KZ©„c¶I mgxn K‡ib Gu‡`i‡K, mn‡R NuvUvb bv| Avgv‡`i AvjgMxi Gu‡`iB GK D¾¡j cÖwZwbwa|
wbh©vZ‡bi Gme NUbv cÖ‡Z¨K w`b N‡U bv| XvjvIfv‡e N‡U bv| †mB e„wUk Avgj Avi bvB| Zey GLbI N‡U wbh©vZb| Kg N‡U, wKš‘ cÖvqkB N‡U| †Kv‡bv K‡q`x ev evey-Rgv`vi Ab¨ †Kv‡bv K‡q`xi bv‡g Ôwi‡cvU©Õ w`‡j, gv‡b Awf‡hvM `vwLj Ki‡j, †Km †Uwe‡j Zvr¶wYK-wePvimfv e‡m| †Rj-KZ©viv †mLv‡b mv¶x-mvey` †`‡L ivq †`b| Awfhy³iv mywePviI cvb e‡U, Z‡e cÖvq-mg¯— †¶‡ÎB cvb kvw¯—| kvw¯— gv‡b GB me kvixwiK wbh©vZbg~jK e¨e¯’v¸‡jvi †Kv‡bv GKUv| Avevi, kvw¯— ej‡Z n‡Z cv‡i Ô†iwgkbÕ ev Ô†iqvZÕ KvUv hvIqv| cÖvq mK‡jiB †Zv mkªg Kviv`Ê| KZ©„c¶ cÖ‡Z¨‡Ki kªg ev KvR wVK K‡i †`b, ÔKvR-cvkÕ K‡i †`b| †mB Kv‡Ri cÖK…wZ Abymv‡i K‡q`xiv cÖwZ wZb gvm Kviv`Ê †_‡K wbw`©ó nv‡i Ñ 20 w`b 21 w`b 22 w`b BZ¨vw` Ñ †iqvZ cvb, d‡j Zvi †gvU mvRv K‡g Av‡m| AZ¨š— we‡kl e¨wZµg Qvov Gi †P‡q eo kvw¯— K‡q`xi Kv‡Q Avi wKQy bvB| a‡ib, GK eQi †Rj †L‡U Avcwb wZb gvm Ô†iqvZÕ AR©b K‡i‡Qb, GLb kvw¯— n‡jv Zvi †_‡K GK gvm Ô‡iqvZÕ †Qu‡U †`Iqv, G Lye ü`qwe`viK kvw¯—| †ewkifvM †¶‡Î kvixwiK kvw¯—i †P‡q A‡bK †ewk KóKi| wZj wZj K‡i †`Iqv Zuvi AgvbywlK kª‡gi wewbg‡q AwR©Z †iqvZ ev` †Mj| GLb Zuv‡K AviI †ewk †Rj LvU‡Z n‡e, AviI †ewk kªg w`‡Z n‡e| GKUv w`b †ewk †Rj LvUv Avi GKUv w`b Kg †Rj LvUvi g‡a¨ AvKvk-cvZvj Zdvr Av‡Q †h: ¯^vaxb gvby‡li mv‡_ e›`xi †h-Zdvr| Ô†iqvZÕ KvUv hvIqvUv‡KB ZvB K‡q`x‡`i fq †ewk| †mUv KZ…©c¶I Rv‡bb, d‡j Zuviv kvixwiK kvw¯—i †P‡q †iqvZ KvUvi wm×vš— wb‡ZB cQ›` K‡ib †ewk| †h-KZ©v e¨w³MZfv‡e e`, wZwb kvixwiK wbMÖ‡n Avb›` cvb, Avi whwb weP¶Y-`qvjy wZwb †iqvZ Kv‡Ub| Avevi gZvš—‡i, †h-KZ©v †iqvZ Kv‡Ub wZwbB wbôzi †ewk| kvw¯—i ˆewPΨ Avi gvÎvi †ni‡d‡ii Avi gvby‡li `qvi Avi wbôziZvi cÖKvi‡f‡`i G-GK wbiš—i cvcPµ|
†¯^”Qvq Xy‡KwQj weovj KvivMv‡ii cvcP‡µ, ïay GKUz LvIqvi ZvwM‡`, euvPvi Avkvq| A_P cÖK…wZ‡Z †RjLvbv bvB| weovj A_ev ev‡Ni Rb¨ †Kv‡bv e›`xkvjv bvB ebvbx‡Z| K¨v½vi“i Rb¨ †Kv‡bv KvivMvi KzÄe‡b bvB| cvwL‡`i Rb¨ wcÖRb bvB| Mi“‡`i Rb¨ bvB Miv‡`i e‡›`ve¯—| KzKz‡ii Rb¨ †Kv‡bv K‡q‡`i Kvievi bvB| ¶zav jvM‡j GKUv cÖvYx Ab¨ cÖvYx‡K wkKvi K‡i Lvq wVKB, wKš‘ e›`x K‡i iv‡L bv| LuvPvq, †Luvqv‡o wKsev wPwoqvLvbvq Ab¨ cÖvYx‡K e›`x K‡i ivLvi e¨e¯’v cÖvK…wZK bq| Avw`‡Z gvby‡li R‡b¨I †Kv‡bv †RjLvbv wQj bv| gvby‡li Rb¨ †Lv`v evwb‡q‡Qb cvnvo, b`x Avi AvKvk| gvby‡li Rb¨ wZwb m„wó K‡i‡Qb wRÁvmv, †KŠZ‚nj, m„RbkxjZv Ges ¯^vaxbZv| m„Rb K‡i‡Qb gvbyl‡K wZwb Rb¥m~‡Î ¯^vaxb wn‡m‡e| gvby‡li Rb¨ wZwb m„wó K‡ib wb KvivMvi| gvby‡li Rb¨ wZwb m„wó K‡ib wb `vmcÖ_v|
(iPbvwU †jL‡Ki cÖKvwkZe¨ ÔKvivMvi ¯^vaxbZv m„RbkxjZvÕ MÖ‡š’i GKwU Ask|)
লেখাটা এর আগে প্রবাসী বাঙালিদের ওয়েবসাইট ইউকে বেঙ্গলী 'তে (http://ukbengali.com/Columns/Col-2008/Col-0805/Col-080504-Selim-Reza-Newton-History-of-Jail.htm) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের পত্রিকাশাশ্বতিকী 'তে (১ম বর্ষ ৩য় সংখ্যা জানুয়ারি ২০০৯) প্রকাশিত হয়েছিল।
রবিবার, ২৪ মে, ২০০৯
ভালোবাসা: জ্যৈষ্ঠের কবিতা
আমার পাওনা যা-- তা-ই আমি পাই:
শুকনা মেঝেতে ভেজা কবিতা সাজাই।
খরা যদি বাড়ে, কড়া রোদের ঝাপটে
বুকে যদি বাড়ে ব্যথা-- চোখের আকাশে
বরষা নামাই, জলে নৌকা ভাসাই।
যা আমার প্রাপ্য, যেন সেটুকুই জোটে--
প্রেমের কয়েদ খাটে বেহায়া সানাই।
এরকম হতো যদি: আমার সকাশে
সত্যিকার মেঘে ভেসে আসত শীতল,
সব রোদ কাছে এসে হয়ে যেত জল!
আমি যা-- সেটাই তো আমার সম্বল;
বাকি সব উপচার, উপলক্ষ্য, দায়।
প-৬১/এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: ২৪শে মে ২০০৯
সোমবার, ১৮ মে, ২০০৯
রক্ষাকবচ
উলঙ্গ পাগল দেখে দেখি লোকে কতখানি মারে।
বিস্তীর্ণ নরম্যালের পিঠে আমি একা অ্যাবনরম্যাল বসে আছি—
একথা যুক্তির শাস্ত্র খাতায় দেখিবা-মাত্র ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ করে কেটে দেবে।
নিজেরই মুদ্রাদোষে একটা মানুষ স্রেফ একা একা আলাদা হয় না—
এই সত্য জানানোর টাইম অনেক আগে পার হয়ে গিয়েছে। অথচ
একা-কার্য একাকী-কারণ দিয়ে বহু তত্ত্ব এখনও লিখছে
একান্ত নিজের যত কথামালা, গল্পের মালিকা—
সেখানে সুস্থতার কথা প্রাচীন, অচল।
কোনো বেদনার দাগ কোনোখানে মিলায়নি একটুও।
সব ক্ষত উন্মোচন করে দিয়ে এবারে দেখব
কত মাছি এসে কত শত চোখে কাকে চোখ মারে।
আমি তো চুম্বনও কোনো কারো কাছে গচ্ছিত রাখিনি—
নিজের বোঁচকা সব নিজে নিজে বয়ে নিয়ে গেছে।
উদোম শরীরে দেখি কত সাপ বসায় ছোবল:
সুরক্ষা-সরাইখানা, তোকে আজ বিদায় জানাই।
সবার জন্যে মদ্য গদ্যপদ্য সদ্য-সদ্য বরাদ্দ নাই,
কারো কারো রুটিজল উপর-আলা তুলে নিয়ে থাকে।
নিরূপায় খুঁজি তাই অনাহারী আত্মার আহার—
ভর্ৎসনা, বিস্তৃত প্রহার।
রাবি: ১১ই সেপ্টেম্বর ২০০৬
আয়নায় স্নান
প্রতিবার অন্য লোক— ভিন্ন ভিন্ন লোক।
তারা সকলেই বেশ আলাদা আলাদা দেখা যায়—
অথচ সবাই তারা আমারই চোখের দিকে স্থির।
বাথরুমে স্নানের সময়ে আমাকে একলা পেয়ে
ওরা বেশ বাজেভাবে তাকায়, দেখতে থাকে,
আর, আমি অসহায় হই— আমার সহায় কেউ থাকে না তখন।
অ্যামিট্রিপটাইলিন কিংবা অ্যালজালোমের কথা মনে পড়ে।
অথচ সেসব চোখ এড়িয়ে পালিয়ে যাব—
সেই রাস্তা নাই।
আয়নার চোখ নাই, চক্ষুলজ্জা নাই;
আয়না আমার চোখে তাকাতে পারে না,
বিশুদ্ধ মিথ্যার মতো হাতড়ায়, সামনে যা পায়—
এসব জেনেও ঠিকই দর্পণে আমার চোখ তোতলাতে থাকে।
অথচ সমস্ত চোখ তখনও আমার দিকে স্থির।
রাবি: ১১ই সেপ্টেম্বর ২০০৬
বুধবার, ১৩ মে, ২০০৯
বাংলাদেশে ইউরো-মার্কিন নৈরাজ্যবাদের প্রাসঙ্গিকতা
"প্রত্যেক নৈরাজ্যবাদীই একেকজন সমাজতন্ত্রী, কিন্তু প্রত্যেক সমাজতন্ত্রীই একেকজন নৈরাজ্যবাদী নন।"
"এ-কথা বিশ্বাসযোগ্য যে, মুক্তিপরায়ন সমাজতন্ত্রের আদলে প্রকাশিত ও বিকশিত ধ্রুপদী উদারনীতিবাদী ভাবাদর্শগুলো অর্জন করা সম্ভব।"
মুক্তিপরায়ণ সমাজতন্ত্র বা নৈরাজ্যবাদের আদলে ধ্রুপদী উদারনীতি ভাবাদর্শ অর্জনের প্রচেষ্টাই ভবিষ্যতের সরকারগুলোকে নিতে হবে, মানবমুক্তির জন্য।
চমস্কির অবস্থান এটাই, আমার পাঠ। অনুমান করি রাজনীতি-চিন্তক/কর্মী হিসেবে আপনার অবস্থানও তাই। চমস্কির এই বক্তুতাকে বেসিক টেক্সট ধরে এখন আপনার একটা পর্যালোচনা/বিশ্লেষণ দাবি করছি। নৈরাজ্যবাদের প্রবক্তারা ইউরোপীয়ান, এর নিদর্শন ইউরোপেই দেখা গেছে, এর সমকালীন প্রচারক চমস্কি আমেরিকান। এখন বাংলাদেশে বা তৃতীয় বিশ্বে একে কীভাবে কনটেকচুয়ালাইজ করা যাবে?
এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে নিচে বাংলাদেশে ইউরো-মার্কিন নৈরাজ্যবাদের প্রাসঙ্গিকতা আলোচনা করছি।
এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে চমস্কির আন্দাজের একটা দিক। এটা কোনো মডেল নয়। তদানিন্তন রাশিয়ার মতো পশ্চাৎপদ দেশে নৈরাজ্যবাদের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন পিতর ক্রপোৎকিন। অন্য রচনায় আমিও বলেছি, আমাদের দেশের ইতিহাসে অচেতন অ্যানার্কি আছে। ভাষা আন্দোলনে, গণঅভ্যুত্থানে, মুক্তিযুদ্ধে, রূপকথায়, ফোকলোরে, হাজারো বিদ্রোহে, পুরানে, সুফিতত্ত্বে নৈরাজ্যে স্পষ্ট আভাস আছে। শিবপুরাণে স্বাভাবিক বিশুদ্ধতার ধারণা নৈরাজ্যেরই ধারণা। আরো এক্সপ্লোর করা প্রয়োজন। আমরা করবও। করছিও ইতোমধ্যে।
আচ্ছা। চমস্কির নৈরাজ্যবাদের একটা তত্ত্ব হলো, এটা উচ্চনীচ-কর্তৃত্বক্রমতন্ত্র
প্রথমত, এখানে দরকার নৈরাজ্য ও স্বাধীনতা-সমাজতন্ত্রের ধারণাগুলোর বিপুল প্রচার--আগামী ৫০ বছর ধরে, কমপক্ষে। সমস্ত--অঢেল পরিমাণ--নৈরাজ্যবাদী রচনা সোজাসাপ্টা বাংলায় অনুবাদ করা ও প্রচার করা দরকার। তাহলেই দেখা যাবে, নৈরাজ্যবাদী গ্রুপগুলো নিজে থেকেই গড়ে উঠতে শুরু করবে। বাকুনিনের কথা: একদিন ঘুম থেকে উঠে বিপ্লব হয় না। নতুন সমাজের বীজ বর্তমান এই সমাজের মধ্যেই গড়ে তুলতে শুরু করতে হবে। এখনই। নতুন নৈরাজ্যবাদী ধারার স্বাধীন সংগঠনগুলোই হবে সেই সমাজের বীজ। স্বাধীনতার বীজানু। এরকম অজস্রমুখী প্রচার ও সংগঠিত তৎপরতার মাধ্যমে উন্নততর স্বাধীন সমাজের জমি তৈরি করতে থাকতে হবে। সেটাই নৈরাজ্যবাদীদের কাজ। নৈরাজ্যবাদীরা বলশেভিকদের মতো নিজেরাই বিপ্লবের দায়দায়িত্ব নিয়ে নেন না। জমিতে জল দিত থাকলে এবং কর্তৃত্ব-প্রশাসন-বলপ্রয়োগক
ছোটো ছোটো স্বাধীন অজস্র এরকম সংগঠনের প্রচার ও প্রত্যক্ষ-তৎপরতা সমাজের চিন্তায় ও বাস্তবতায় সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে শুরু করবে। আমাদের আগস্ট-বিদ্রোহ জরুরি অবস্থার নিষ্পেষণকে অনেকখানি রুখে দিতে পেরেছিল। ঐ বিদ্রোহটা 'আচমকা' ঘটলেও তার পেছনে ছিল রাবি-তে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রচার ও সাংগঠনিক কাজ। এর চেয়ে আরো অনেক বড় আন্দোলন সম্ভব। রাষ্ট্রকে এবং রাষ্ট্রের কর্তৃত্বপরায়ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোনঠাসা করতে থাকা এবং তার মাধ্যমে একদিকে সমাজ ও ব্যক্তি-মানুষের স্বাধীনতার সীমা বাড়াতে থাকা এবং অন্যদিকে শ্রমজীবী মানুষের বাস্তব জীবনের উন্নতি অর্জন ও অধিকার আদায়ের মাধ্যমে সমাজ স্বাধীনতা-সংহতি-সমাজতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ধারণা, অর্থাৎ "খাঁচার মেঝেকে প্রসারিত করা"র ধারণা চমস্কির নৈরাজ্যবাদের আরেকটা বৈশিষ্ট্য।
এগিয়ে যেয়ে কী চেহারা সমাজ নেবে তার সুনির্দিষ্ট রূপ এখনই নির্নয় না-করাটা, নির্ণয় করাকে অপ্রয়োজনীয় ও অসম্ভব জ্ঞান করাটা চমস্কির নৈরাজ্যবাদের আরেকটা বৈশিষ্ট্য।
চমস্কির নৈরাজ্যবাদের আরেকটা বৈশিষ্ট্য তাঁর মনুষ্যস্বভাব-তত্ত্ব। এই তত্ত্ব অনুসারে, মানুষ জন্মগতভাবে মানুষ স্বাধীন ও সৃজনশীল। বাকুনিনের তরফে চমস্কি দেখান, স্বাধীনতার স্পৃহা এবং বিদ্রোহের বাসনা মানুষের চিরন্তন জৈবিক বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যের অনুকূল সমাজ গঠনের পথে বাধা হচ্ছে পুঁজিবাদী মালিকানা-কাঠামো এবং তার বলপ্রয়োগের রাষ্ট্রীয়-আইনগত-কর্তৃত্ব-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। অর্থাৎ, অসমতা ও কর্তৃত্ব। চূড়ান্ত বিপ্লবের মাধ্যমে উভয়কে উচ্ছেদ করে স্বাধীন মানুষের স্বাধীন ফেডারেশনসমূহ দ্বারা মুক্ত মানুষে মুক্ত সমাজ গড়ে তোলার পথে যা যা করা যায় করাটাই এই মুহূর্তে নৈরাজ্যবাদীদের কাজ।
চমস্কির নৈরাজ্যবাদের এইসব বৈশিষ্ট্য আমাদের মতো দেশে নৈরাজ্যবাদী ধারায় বা মুক্তিমুখীন সমাজতন্ত্রের ধারায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়ক ধ্যানধারণা ['থিওরি' নয়] হিসেবে কাজ করে। এগুলো সমাজ-নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্্য নয়, সর্বজনীন বৈশিষ্ট্য।
চমস্কির নৈরাজ্যবাদের আরও বৈশিষ্ট্য আছে। সেগুলো এই মুহূর্তে না-তুললেও চলে।
বাকুনিন, রকার এবং নোম চমস্কির নৈরাজ্যবাদ স্রেফ ফলো না-করে আমাদের অরাজপন্থা আমাদের নিজেদেরই তৈয়ার করা বাংলাদেশে নৈরাজ্যবাদীদের কাজ। কাজটা প্রত্যক্ষ শ্রমিক আন্দোলন ধরে, সিনেমা ধরে, কবিতা, প্রবন্ধ, শিক্ষকতা, মিছিল, সমাবেশ, আলোচনা, ছবি আঁকা, গান--অজস্র ধারায় করা সম্ভব। সমমনাদের মধ্যে বৃহত্তর ফেডারেশন গড়ে তোলা সম্ভব।
আমাদের মতো দেশে দীর্ঘ দিনের বাস্তব কাজের মধ্য দিয়ে নৈরাজ্যবাদের পৃথক পৃথক ভাষ্য গড়ে ওঠাটাও স্বাভাবিক। যা ইউরোমার্কিন নৈরাজ্যবাদের পর্যালোচনাও দাঁড় করিয়ে দেবে।
চলবে আপাতত, ফাহমিদ? পরে আমরা 'মানুষ' পত্রিকায় "নোম চমস্কির নৈরাজ্যবাদ, আমাদের অরাজপন্থা" শিরোনামে এসব নিয়ে আমার ধারণাগুলো আরও গুছিয়ে, আরও বিস্তৃতভাবে হাজির করতে পারব আশা করি। তার আগে এখন আরও প্রশ্ন-মত-বিশ্লেষণ নিয়ে কথা উঠলে বরং ভালোই। আমরা তৈরি হয়ে উঠতে পারব।
ফেসবুক: রাজশাহী: ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০০৯: http://www.facebook.com/note.php?note_id=75487567911
তালেবান, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, বলশেভিক-পন্থা: আমাদের কর্তব্য
আমাকে ট্যাগ করার উসিলায় কয়েকটা কথা 'মন্তব্য' আকারে পেশ করেছিলাম।
এখানে টুকে রাখলাম। চমৎকার প্রশ্ন তোলার জন্য মাহবুব মোর্শেদকে ধন্যবাদ জানাই।
তালেবান এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী সেনাবাহিনী উভয়ই মানবজাতির দুশমন। ভয়াবহ দুই পাপের মধ্যে কোনটা 'উত্তম পাপ', এই প্রশ্নটাই একটা সুবিধাবাদী প্রশ্ন। 'উত্তম পাপ'-এর সাথে আঁতাত-আত্মীয়তা পাতানো কি জায়েজ? আর এই আত্মীয়তা পাতানোর ইচ্ছা যাঁদের আসলেই নাই, তাঁরাও যখন এই প্রশ্নটাকে প্রত্যক্ষে/পরোক্ষে গুরুত্ব দেন (এরকম যদি কেউ আদৌ থেকে থাকেন), তখন তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন মনে করা ছাড়া অন্য কিছু ভাবা কঠিন। উভয়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মানুষ দাঁড়াতে পারছেন কিনা সেইটাই বড় প্রশ্ন।
আর আমাদের দেশে এই দুই দুশমনের হাত থেকে আমরা বাঁচব কীভাবে, সেটা আরো বড় প্রশ্ন। ব্যাপক গণ পর্যায়ে, সারা দেশ জুড়ে, প্রকৃত স্বাধীনতা ও সমাজতন্ত্রের চিন্তাচেতনা, সংগঠন এবং (রাজনৈতিক নয়) সামাজিক আন্দোলন খুব দ্রুত গড়ে তোলার কাজে নামতে হবে। এরকম কাজ সম্পাদন করার মতো পরিস্থিতি আমাদের দেশে পূর্ণ মাত্রায় বিরাজমান। তবে এ কাজ সুশীল-সামরিক-রাজনৈতিক "শাসক-দল"সমূহকে দিয়ে কিংবা বলশেভিক-বামপন্থা দিয়ে আদায় করা যাবে না। বলশেভিক-পন্থা, তালেবান-পন্থা ও মার্কিন-পন্থার সবগুলোকে পরিহার করে আমাদের বামপন্থী দলগুলো যদি সত্যিকার সমাজতান্ত্রিক দল হিসেবে নিজেদের ঐতিহাসিক নবায়ন ঘটাতে পারেন, তাহলেই আমাদের জন্য সর্বতো মঙ্গল। নতুবা নৈরাজবাদ ওরফে মুক্তিপরায়ন সমাজতন্ত্রের ঝান্ডা নিয়ে যাঁরা এখানে কাজ করছেন, তাঁদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে কারো জন্য অপেক্ষা না-করে। সমূহ সর্বনাশ ধাঁই ধাঁই করে ধেয়ে আসছে। সংগঠন গড়ার কাজে আমাদেরকে নামতে হবে আজকেই।
পুঁজিবাদী/রাজতন্ত্রী/বলশেভিক/ফ্যাসিবাদী/তালেবান নির্বিশেষে পৃথিবীর সবদেশের সেনাবাহিনীর কাঠামো একই রকম। মাত্রায় যা কমবেশি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার সেনাবাহিনী বা রাষ্ট্র কি 'পাকিস্তানী' নিপীড়ক, হায়ারার্কিক্যাল আদল পরিত্যাগ করেছে। বলপ্রয়োগের যাবতীয় সংস্থার বিরুদ্ধেই আমাদরকে কথা বলতে হবে।
খুব তাড়াহুড়া করে বললাম। ভুল হলে কেউ ধরিয়ে দেবেন প্লিজ!
ফেসবুক: রাজশাহী: ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০০৯: http://www.facebook.com/note.php?note_id=76218347911